মেঘনা বিধৌত মনপুরা এক সময় ভোলা জেলার মূল ভূ-খন্ড এর সাথে একত্রিত ছিল। ষোড়ষ শতাব্দীর দিকে ইউরোপ থেকে ভারত বর্ষে আসার স্থল পথ আবিষ্কৃত হওয়ার পর ইউরোপীয় পর্তুগীজরা তাদের ব্যবসা বানিজ্য ও অন্যান্য কাজে মনপুরাকে নির্বাচিত করে বসবাস করতে থাকে। ব্যবসা-বানিজ্যের পাশাপাশি তারা বঙ্গোপসাগর সহ অন্যান্য নদ-নদীতে জল দস্যুতা শুরম্ন করে। মনপুরা ছিল মুলত মেঘনা নদীর শাহবাজপুর চ্যানেল দ্বারা বেষ্টিত। পরবর্তীতে ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলা ও মনপুরার মধ্যবর্তী সীমানা দিয়ে মেঘনার ভাঙ্গনের ফলে ছোট একটি খালের সৃষ্টি হয়। সেই থেকে তা ভাংছে শত শত বছর। মেঘনার নাব্যতা সাগরে হাড়াতে মেতে ওঠে ভাঙ্গনের খেলায়। যার ফলে সৃষ্টি হয় মেঘনার আরেকটি উপশাখা। যাকে পরিনত মেঘনা নদীই বলা চলে। মেঘনার প্রবল ভাঙ্গনের ফলে মনপুরা ভাংতে ভাংতে ছোট হয়ে যায়। এখন মনপুরার চারদিক থেকে গ্রাস করে নিয়েছে সর্বনাশী মেঘনা নদী। মনপুরার ইতিহাসে নদ-নদীর ব্যাখ্যা দিতে গেলে বলতে হবে মনপুরার উত্তরে মেঘনা, দক্ষিনে মেঘনার সীমানা পেরিয়ে বঙ্গোপসাগর, পশ্চিম পাশে মেঘনার শাহবাজপুর চ্যানেল এবং পূর্ব পাশেও মেঘনা নদী বেষ্টিত। এখন এক কথায় বলা চলে মনপুরা মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস